দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে পিডিবির বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহার করে ভোজ্য তেলের একটি কারখানা চালানোর অভিযোগ উঠেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। ওই নেতার নাম আবদুস সাত্তার মহজন। তিনি টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহারের বিষয়টি নজরে এলে রোববার বিদ্যুৎবিভাগের লোকজন উপজেলার বড়চওনা এলাকায় ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এবং ব্যবহৃত মিটার ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়।
পিডিবি ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়চওনা ইউনিয়নের বড়চওনা-তৈলধারা সড়কের পাশে গড়ে তোলা হয়েছে স্টার টাটা সরিষা (ভোজ্য) তেলের কারখানাটি। কারখানাটির পাশাপাশি ওই নেতার গড়ে তোলা সাত্তার হাউজিং প্রপার্টি রয়েছে। এসব কিছুতে এখানে অনেক বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর ধরে ওই নেতা পিডিবির অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আসছেন। সরকারের লাখ লাখ টাকার অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছেন শুধু দলীয় ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে। ওই কারখানার শ্রমিকরা জানায়, কয়েকদিন আগে অবৈধ সংযোগ চালানোয় বিদ্যুতের মিটার, অন্যান্য যন্ত্রাংশ বিদ্যুৎবিভাগের লোকজন এসে খুলে নিয়ে যায়। এখন কারখানাটি বন্ধ রয়েছে। নামপ্রকাশ না করার শর্তে, বিদ্যুৎবিভাগের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, এতদিন কারাখানার সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করতে সাহস পাওয়া যায়নি। তিনি আওয়ামী লীগের ক্ষমতার প্রভাব দেখাতেন। ওই নেতার ভোজ্য তেলের কারখানায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের দায়ে তিন লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অবৈধ সংযোগ চালানোর বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুস সাত্তার মহজনের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি জানান, কারখানা চালাতে গিয়ে ২৮ মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ছিল; রোববার ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে। অবৈধ সংযোগের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এ ব্যাাপরে সখীপুর পিডিবির (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) নির্বাহী প্রকৌশলী আবুবকর তালুকদার ওই কারখানাটির অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ব্যবহৃত মিটার ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ জব্দ করার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।